How Much You Need To Expect You'll Pay For A Good অসমাপ্ত জীবনের গল্প

বিকালবেলা আম্মা আমাকে ডেকে বললেন,” তুই তোর নানীর কাছে একটু বস । এখানে আনারের রস করা আছে, একটু একটু নানীর  মুখে দিবি ।আমি ততক্ষণে আসরের নামাজটা শেষ করে আসি”। আমি নানীর কাছে বসে ছোট্ট একটা চামচ দিয়ে একটু একটু করে নানিকে আনারের রস খাওয়াতে লাগলাম। একটু পরেই বাইরে হট্টগোল শুরু হয়ে গেল। কেউ একজন দৌড়ে এসে নানীকে জানিয়ে গেল বড় খালারা এসেছে। একটু পরেই বড় খালা হন্তদন্ত হয়ে নানীর ঘরে আসলেন। আমি নানিকে আনার খাওয়ানো বাদ দিয়ে একপাশে দাঁড়িয়ে গেলাম। বড় খালা নানীর পাশে বসে নানীকে জড়িয়ে ধরে অঝোরে কাঁদতে লাগলেন। নানি দুর্বল গলায় তাকে সান্তনা দিয়ে বললেন ,”আমার কিছুই হয়নি , আল্লাহর রহমতে আমি এখন ভালো আছি”। বেশ কিছুক্ষণ পর বড় খালা নিজেকে সংযত করলেন। নানি বড় খালাকে খালুর কথা , সব বাচ্চাদের কথা সবার কথা জিজ্ঞেস করলেন ,”সবাই কেমন আছে।” বড় খালা বললেন ,” সবাই ভালো আছে”।

নিয়ে যাও তোমার কাছে চিরদিনের জন্যে আমায়। সব সময় মনে পড়ে তোমায়, আমি তোমাকে অনেক অনেক ভালোবাসি। “নিঃশ্বাসে তুমি বিশ্বাসে তুমি” প্রতিবিম্বে প্রতিবিম্বে শুধুই তুমি।” ভালোবাসার গল্প

এরপর ম্যাসেজের পাশাপাশি লুকিয়ে লুকিয়ে ফোন করাও শুরু হয়, তবে ঘণ্টার পড় ঘণ্টা নয়, হাঁতে গোণা কয়েক মিনিট। হ্যাঁ এতেই শান্তি, অন্তত প্রিয়জনের গলার আওয়াজটা শুনে কিছুটা হলেও স্বস্তি মেলে। আবার কোনো কোনো দিন এমনও হয়েছে, যে একবারও কথা হয়নি। কি ভেবেছেন সে মুখ-গোমড়া করবে, উঁহু সে, রাগ করার পাত্র নয়। যে আমার জন্য অতগুলি দিন আমার পেছনে ঘুরেছে, সে আমার উপড়ে এই সামান্য বিষয়ে রাগ করবে, তা কি কখনো হয়?  

বাজিতপুর কে জেলা করার দাবিতে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত।

পরের দিন নানী অনেকটা সুস্থ বোধ করাতে তাকে ধরাধরি করে বারান্দায় এনে বসানো হলো। নানীকে অনেকটা সুস্থ দেখে বাড়ির সবার মনে  স্বস্তি ফিরে এলো।

রোমাঞ্চকর ও ইমোশনাল গল্পে নির্মিত অল্প সময়ে গান গুলো ভক্তদের মনে জায়গা করে নিয়েছেন!

অবশেষে click here একমাস পড় স্কুল খুলল, স্কুল খোলার পড় আমাদের প্রথম দেখা হবে, ভাবতেই আনন্দে মনটা লাফিয়ে উঠছিল, নিজের অজান্তেই “কতদিন পড়ে সখি দেখিব তোমারে” গানটার সুর ঠোঁটে চলে আসছিল। আমাদের রক্ষণশীল পরিবার। তাই স্কুলের সময় ছাড়া আর অন্যসময় আমি বাইরে বিশেষ কাঁটাতে পাড়িনা। আর আজ সে স্কুলের সামনে আসবে। সেখানেই দেখা হবে।  

বৃষ্টির দিনগুলোর স্মৃতি মাঝে মাঝে থমকে দাঁড়ায়,

এই ফরিয়াদ তোমার কাছে করি ওগো প্রভু

এই কি হলো কথা বলছো নাকেনো। এই রক্তিম কথা বলো’ রক্তিম’এই রক্তিম। কি হলো তুমি কথা বলছো নাকেনো।

তোমার ঘৃণার পাত্র, গুন্ডা ‘বখার্টে ছেলে রক্তিম।

পরেরদিন আব্বা আমাকে আমার ভাই এবং আম্মাকে নানাবাড়ি মাগুরার বাসে তুলে দিলেন। বিকাল চারটায় নানা বাড়ি পৌঁছে দেখলাম নানি খুবই অসুস্থ। তার স্যালাইন চলছে। মাগুরা থেকে ডাক্তার এসে দিনে ২ বার করে দেখে যান। আত্মীয়-স্বজন বন্ধু-বান্ধব যে যেখানে ছিল সবাই এসে এসে নানীকে দেখে যাচ্ছে। নানীর সুস্থতার জন্য নানা খতমে ইউনুস পড়াচ্ছেন, সবাই যে যার মতো করে আল্লাহর কাছে নানির সুস্থতার জন্য দোয়া করছে। বাড়ি ভর্তি আত্মীয়স্বজন গমগম করছে, সবারই একটাই চাওয়া আল্লাহর কাছে আল্লাহ যেন আমার নানিকে সুস্থ করে দেন ।

অসমাপ্ত-ই থেকে যায় জীবনের মূল্যবান আকাঙ্খা।

কখনো ভাবিনী যে, একজন সিনিয়রের সাথে আমার বন্ধুত্ব হয়ে যাবে। এরপর রাস্তায় অনেকবার দেখা হয়েছে। কথাও হয়েছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *